
প্রকাশিত: Sun, Apr 21, 2024 2:42 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:28 AM
শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত!
মিজানুর রহমান খান : আমার জীবনের একটা বড় প্রাপ্তি- শিক্ষা। জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। এখনও সেটা অব্যাহত আছে। এই শিক্ষা আমি গ্রহণ করেছি অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের সঙ্গে। শিখতে কখনো দ্বিধা হয়নি। কিছু না পারলে সেটা প্রকাশ করতেও সংকোচ করিনি। এখনও করি না। আমি পথ চলতে গিয়ে শিখি। শিখি প্রত্যেক দিন কাজ করতে গিয়ে। প্রতিদিনই একটা না একটা বিষয় পেয়ে যাই যা আগের দিন ঠিক মতো করিনি। শেখার পর সেটা পরের দিন কাজে লাগে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো পরের দিন আমি অন্য একটা ভুল করে ফেলি। ভুল করতে আমি লজ্জা পাইনা। আমি ভুল স্বীকার করি। এবং এই ভুল থেকে শিক্ষা নেই। বড়দের কাছ থেকে যেমন শিখি তেমনি শিখি ছোটদের কাছ থেকেও। এই শিক্ষা গ্রহণের পেছনে যেটা কাজ করে তা হচ্ছে শিক্ষার পদ্ধতি। বিদেশে কাজ করতে করতে জেনেছি - কাউকে কিছু শেখানোর প্রথম ধাপ হচ্ছে যাকে শেখাবেন তাকে মর্যাদা দেওয়া। একটা কপি নিয়ে যখন সম্পাদকের কাছে গিয়েছি, তিনি অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আমার আত্মসম্মান, মর্যাদা এবং আত্মবিশ্বাসে বিন্দুমাত্র আঘাত না করে সেই লেখাটা ঠিক করে দিয়েছেন।
তিনি বুঝতেই দেননি- যে কপিটা লিখেছি, সেটা দুর্বল। বরং তিনি প্রশংসা করতে করতে এমন কিছু পরিবর্তন করেছেন, যে সেটা অসাধারণ কপিতে পরিণত হয়েছে। ততোক্ষণে সেটা দেখে দেখে আমি অনেক কিছুই শিখে ফেলেছি। আমার লেখায় হয়তো তিনি একটা ভালো কিছু পেয়েছেন, সেটা ধরেই প্রশংসা করে গেছেন। এই একটা ভালোর নিচে তিনি সব ভুল চাপা দিয়েছেন। আমার মতের বিরুদ্ধে তিনি গিয়েছেন, আমার মতের গুরুত্ব শিকার করেই। কখনো বলেননি এটা ভুল বা এটা ঠিক হয়নি। বলেছেন, এটাও দারুণ কিন্তু আমি যদি এভাবে লিখি সেটা তোমার কাছে কেমন মনে হয়?
অথচ দেশে শিক্ষকরা প্রথম যে কাজটা করেছেন সেটা হলো, আত্মবিশ্বাসে আঘাত করা। প্রথম দিনই সম্মান গুড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তুমি কিছু পারো না, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। এটাই যেন শিক্ষকের একমাত্র কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষক ছিলেন, তাদের নাম নিতে চাই না, প্রথম ক্লাসেই বলেছেন, তোমরা তো দেখি কিছুই জানোনা। তাদের কিছু জিজ্ঞেস করতেও বুক কাঁপতো। একজন তো সবার সামনে খাতা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, কিচ্ছু হয়নি। আরেকজন বলতেন, তার ফাইভ পড়ুয়া পুত্র যে ইংরেজি পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়েও আমরা সেই ইংরেজি পারিনা। সেই দিনগুলোর কথা মনে হয়ে আজ খুব খারাপ লাগে। মনে হয় শেখার অনেক সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি। লেখক: সাংবাদিক। ১৯-৪-২০২৪। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
